Full width home advertisement

Travel the world

Climb the mountains

Post Page Advertisement [Top]

banglacultureeducationinternational.nationalmountainstravel

বাংলার ইতিহাস ১ম খন্ড ।। বাংলাহ ডট কম

১ম খন্ত
বাংলার ইতিহাস বলতে অধুনা বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসামের বরাক উপত্যকার বিগত চার সহস্রাব্দের ইতিহাসকে বোঝায়।[১]গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদ এক অর্থে বাংলাকে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতের ইতিহাসে বাংলা এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। প্রাচীন রোমান ও গ্রীকদের কাছে এই অঞ্চল গঙ্গারিডাই নামে পরিচিত ছিল। চার সহস্রাব্দ পূর্বে বাংলায় সভ্যতার ক্রমবিকাশ শুরু হয়।[১] প্রাচীন গ্রীক ও রোমান ভাষায় এই অঞ্চলকে গঙ্গারিডই নামে উল্লেখ করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে বাংলা বরাবরই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রাচীন বাংলা কয়েকটি জনপদে বিভক্ত ছিল এবং বেশ কিছু প্রাচীন শহর বৈদিক যুগে পত্তন হয়েছিল বলে ধারনা করা হয়। প্রাচীন বাংলার অধিবাসীরা ভারত মহাসাগরে অবস্থিত বিভিন্ন দ্বীপে উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। পারস্য, আরব এবং ভূমধ্যসাগরিয় অঞ্চলের সাথে বাংলার দৃঢ় বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল। [২] এই অঞ্চল মৌর্য ও গুপ্ত সাম্রাজ্য সহ আরো অনেক ভারতীয় সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। বাংলা বিভিন্ন সময়ে আঞ্চলিক শাসকদের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রাচীন দুর্গ শহর গৌড়, বহু বছর ধরে বাংলার রাজধানী ছিল। (৮ম থেকে ১১ শতকে) বৌদ্ধ শাসক পাল আমলে এবং (১১ থেকে ১২ শতকের) হিন্দু শাসক সেন আমলে আমলে বাংলার রাজধানী ছিল গৌড় ছিল। এই সময়ে বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সঙ্গীত, কলা এবং স্থাপত্যের প্রভূত উন্নতি হয়। ১৩ শতাব্দীর পর এই অঞ্চল মুসলমান সুলতান, বারো ভুঁইয়া এবং হিন্দু রাজন্যবর্গের দ্বারা শাসিত হয়েছিল। [৩] ১৬ শতকের শেষে এবং ১৭ শতকের শুরুতে ঈশা খাঁ নামের একজন মুসলিম রাজপুত বারো ভূঁইয়াদের নেতৃত্ব দেন।[৪]

দিল্লি সালতানাত এবং শাহী বাংলার সুলতানতে সময়, ইউরোপবাসীরা বাংলাকে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী বাণিজ্য দেশ হিসেবে ধরতো [৫] এরপর, বাংলা মুঘলদের অধিকারে চলে আসে। মুঘল আমলে বাংলা ছিল সবচেয়ে সম্পদশালী প্রদেশ। মুঘল আমলে, সুবাহ বাংলা সমগ্র সাম্রাজ্যের শতকরা ৫০ ভাগ জিডিপি এর যোগান দিত।,[৬] বাংলা সমুদ্রগামী জাহাজ ও বস্ত্র শিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল।[৭][৮][৯]মুঘল সাম্রাজ্য আমলে বিশ্বের মোট উৎপাদনের (জিডিপির) ১২ শতাংশ উৎপন্ন হত সুবাহ বাংলায়,[৬][১০][১১] যা সে সময় সমগ্র ইউরোপের চেয়ে জিডিপির চেয়ে বেশি ছিল।[১২] ক্রমে মুঘল শাসন দূর্বল হয়ে পড়লে, মারাঠা আক্রোমণের পর বাংলায় প্রায়-স্বাধীন নবাবদের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর বাংলা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনে চেলে যায়।

১৮ শতকের দ্বিতীয় ভাগে বৃটিশরা সমগ্র বাংলার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রন গ্রহণ করে। ১৭৫৭ সলে পলাশীর যুদ্ধ ও ১৭৬৪ সালে বক্সারের যুদ্ধের পর কোম্পানি বাংলায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করে। বাংলায় বৃটিশদের লুঠতরাজ তৎকালিন বৃটেনে শিল্প বিপ্লবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল।[৭][৮][৯][১৩] বাংলা থেকে নিয়ে যাওয়া পুঁজি বৃটেনের বিভিন্ন শিল্পে, বিশেষ করে বস্ত্র শিল্পে বিনিয়োগ করে, বৃটিশরা প্রভূত সম্পদের অধিকারী হয়েছিল। একই সাথে, এই লুঠতরাজের ফলে বাংলায় শিল্পায়ন ব্যহত হয় এবং দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়।[৭][৮][৯] ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তানের স্বাধীনতার সময়ে বাংলাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। বাংলার পশ্চিম অংশ ভারতের একটি রাজ্যে পরিনত হয়। পূর্ব অংশ যুক্ত হয় পাকিস্তানের সাথে। পরবর্তিতে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে।

2......চলবে

No comments:

Post a Comment

Bottom Ad [Post Page]

| Designed by Colorlib